১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

৩১ মে, ২০২৫

আখাউড়ায় পৌরসভার ১০ লাখ টাকার প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ৯:০২ অপরাহ্ন
আখাউড়ায় পৌরসভার ১০ লাখ টাকার প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় টেন্ডার বা কোটেশন প্রক্রিয়া অনুসরন না করে পৌরকর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। কেল্লা শহীদ এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদার কাজটি করছেন। স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ, পৌরকর্তৃপক্ষ অনৈতিক সুবিধা নিতে  গোপনে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজটি দেওয়া হয়েছে। আলোচিত প্রকল্পটি আখাউড়া পৌরশহরের নারায়ণপুর বাইপাস এলাকায় ‘সৌন্দর্য বর্ধন ’ নামে করা হচ্ছে। এতে ‘আইলাভ আখাউড়া’ লিখার  পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস ও দর্শনীয় স্থানের নাম উল্লেখপূর্বক দিক নির্দেশনা থাকবে বলে জানান পৌরকর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌরসভায় উন্নয়নমূলক কাজ করতে পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি বা পৌরসভার নোটিশ বোর্ডে কোটেশন প্রদর্শন করে ঠিকাদার আহ্বান করে নিয়মানুসারে  ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিতে হয়। এদিকে এসকল নিয়ম কানুনকে তোয়াক্যা না করেই সুবিধামত ঠিকাদারকে প্রকল্পটি হস্তান্তরের অভিযোগ ওঠে। পৌরর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার ইয়াছিন মোল্লা শুধু মালামাল সরবরাহ করেছেন বলে একে অপরের দিকে অভিযোগের তীর ছাড়েন। 

এ ব্যপারে আখাউড়া পৌরসভার নিয়মিত ঠিকাদার মোহাম্মদ আলী ভূইয়া বলেন, আমি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত ঠিকাদারী করছি। জানতে পেরেছি, পৌরসভায় ১০ লক্ষ টাকার একটি সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। যার কোন টেন্ডার বা কোটেশন করা হয়নি। নোটিশ বোর্ডেও কোন বিজ্ঞপ্তি টানানো হয়নি।
 
রাসেল মিয়া নামে আরেক ঠিকাদার বলেন, আমরা কোন ঠিকাদার জানি না কিভাবে কাজটি কেল্লা শহীদ এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা কোটেশনও দেয়নি। যে ঠিকাদারকে দেওয়া হয়েছে তিনিও বিতর্কিত। 

জানতে চাইলে আখাউড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তানভীর হোসেন বলেন, সামনে বর্ষার মৌসুম আসতেছে। একারণে আমরা তাড়াতাড়ি আরপিও করে কাজটা শুরু করেছি। আরপিও করতে পত্রিকায় নোটিশ করতে হয় না। কাজটা কোটেশনের মাধ্যমে কেল্লা শহীদ এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক জি.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, কাজটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে বিধায় ঠিকাদার পরিবর্তন করে দিব। আখাউড়ায় আমি নতুন এসেছি। বিতর্কিত কোন ঠিকাদার এরকম কাজ করতে পারবে না।

নয়াশতাব্দী/এসআর