
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের যে পর্যায়ের নেতৃত্ব যেভাবেই কথা বলেন না কেন, অতি অবশ্যই রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনটেইন করে কথা বলা উচিত। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মান করি। উনার সম্মান অক্ষুণ্ন থাকুক, সেজন্যই আমরা বারবারে উনাকে তাগাদা দিয়েছি— আপনার সম্মানে আঘাত লাগে সে রকম কোনও কর্মকাণ্ড যেন সরকারের কর্মকাণ্ডে দৃশ্যমান না হয়।
বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের আচরণ আর বক্তব্যের তুলনাও করেন কেউ কেউ।
রাজনীতি বিশ্লেষক সাব্বির আহমদ মনে করেন, রাজনৈতিক দলকে উপেক্ষা করার প্রবণতা থেকে বের না হলে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা বাড়তেই থাকবে।
আর সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, দল নিরপেক্ষ থাকতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। তিনি বলেছেন, আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নিরপেক্ষ নন অথবা আপনার উপদেষ্টা পরিষদ নিরপেক্ষতা হারিয়েছে অথবা আপনি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য কোনও পক্ষপাতিত্ব করছেন এ রকম কোনও কিছু যেন দৃশ্যমান না হয়। এই কলঙ্ক তিলক নীতি চাই না যে বাংলাদেশের নিরপেক্ষ সরকার পক্ষপাতিত্ব করেছে।
ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, দৃশ্যত মনে হয় যে উনি খুব ডায়ালগে বিশ্বাস করেন, কিন্তু সাধারণত আমার কাছে মনে হয়েছে রাজনৈতিক দলকে উনি গুরুত্ব দিতে চান না। বাট তিনি তার নিজস্ব একটা দলকে আবার তার পক্ষে রাখতে চান। উনি উনি অনেক কিছু অর্জন করেছিলেন, কিন্তু অনেক কিছু উনি লসও করে ফেললেন। দ্রুত লস করে ফেললেন।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে পূর্ণ সমর্থন ছিল বিএনপির। কিন্তু সেই সমর্থনে দিনে দিনে ভাটা পড়ছে বলেই সাম্প্রতিক নানা আলাপ ও কাজকর্মে তা স্পষ্ট হচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/এসআর