
বাংলাদেশের চার ভাগের এক ভাগ ডেঙ্গু রোগী বরগুনায়। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের অকাল মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে জেনারেল হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং বাকিরা অন্যান্য হাসপাতালে। ১০ জন ডাক্তারের মধ্যে ৫ জন ডাক্তার নিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা, বাকি ৫ জন রয়েছেন ছুটিতে।এসব নানা কারণে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপিসহ স্থানীয় একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
এ পর্যন্ত ১৫শ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে শুধুমাত্র বরগুনা জেলায়। বর্তমানে ১৫৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে। এরপরেও বরগুনা জেলাকে ডেঙ্গু হটস্পট হিসেবে ঘোষণা না করায় এবং জরুরী ব্যবস্থা না নেয়ায় রাস্তায় নেমেছে বরগুনার সাধারণ জনগণ।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় প্রেসক্লাব চত্বরে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণের ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী কর্মীরা। পরে সকাল ১১ টায় একই স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপি।
বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপি 'র সভাপতি তালিমুল ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র সহ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এ জেড এম সালেহ ফারুক।
বরগুনার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী নাসরিন আক্তার শিমু বলেন, বরগুনার জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে বরগুনায় তাদের সহকর্মী স্থানীয় উদ্যোক্তা মোনালিসা জেরিন এবং কিশোরী উপমাসহ ১০ জনেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে ডেঙ্গু। যে কোন সময় এ পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেতে পারে। শত শত মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। যার সামাল দেয়া পুরো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হবে না।
কেন্দ্রীয় বিএনপি'র সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বরগুনা পৌরসভা, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলেরই দায়িত্বহীনতা রয়েছে। তিনি আরো বলেন এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সচিব কেন বরগুনায় আসলেন না স্বাস্থ্য উপদেষ্টা কেন বলব না আসলেন না তার জবাব দিতে হবে জনগণের কাছে। এসব ব্যর্থতার দায় দিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/এসআর