
দুর্ঘটনার আগে বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিলেন ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। তবে, পরে আহমেদাবাদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসির ডাকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিমান চলাচল পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ফ্লাইট রাডারের তথ্য, রানওয়ে থেকে ওঠার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ৬২৫ ফুট উচ্চতায় বিমানের সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
উড়োযানটি স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। তার পাঁচ মিনিট পরই মেঘানি নগরের একটি আবাসিক এলাকায় চিকিৎসকদের হোস্টেল ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয়।
উড়োযানটি একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। যার ধারণক্ষমতা ২৫৬ জন। তবে, ফ্লাইটটিতে মোট আরোহী ছিলেন ২৪২ জন। তার মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের, ৭ জন পর্তুগালের ও একজন কানাডার নাগরিক।
এছাড়া, ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) বিমানটির পাইলটদের তথ্য প্রকাশ করেছে।
ডিজিসিএকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি (লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন) ছিলেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। আর কো-পাইলটের ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা। তারা সেখানে পৌঁছেই উদ্ধারতৎপরতা শুরু করেন, যা এখনও চলমান।
সূত্রঃ বিবিসি।
নয়াশতাব্দী/এসআর