
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখার জন্য পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (২৫ জুন) ন্যাটো সম্মেলন শেষে হেগে এক সংবাদ সম্মেলনে পাক সেনাপ্রধানকে ‘অত্যন্ত প্রভাব বিস্তারকারী’ বলে প্রশংসা করেন ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার (১৮ জুন) এক ব্যক্তিগত মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প পাক সেনাপ্রধান মুনিরকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি পাকিস্তানি জেনারেলের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ‘সম্মানিত’ এবং তারা দুজনেই ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, তিনি উভয় দেশকে উত্তেজনা কমাতে রাজি হলে বাণিজ্যে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, বাণিজ্যের প্রশ্নে দুই দেশের সঙ্গে ফোনালাপের মাধ্যমেই তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।
হেগে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেল শেষে এক সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সামরিক সংঘাত বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি ইরান ও ইসরাইলের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে দিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশির মধ্যে সংঘাত ‘খুব বাজে পর্যয়ে চলে গিয়েছিল’।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি পাকিস্তানের একজন জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, যিনি খুবই প্রভাবশালী একজন মানুষ। গত সপ্তাহে তিনি আমার অফিসে এসেছিলেন।’
ট্রাম্প এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অসাধারণ মানুষ’, বলেও অভিহিত করেন। আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম-যদি লড়াই করো, তাহলে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) বাণিজ্য করা হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যদি তোমরা একে অপরের সাথে যুদ্ধ করতে চাও, তাহলে আমি একটি বাণিজ্য চুক্তি করব না। এবং আপনি জানেন তারা কি বলেছিল। তারা বলল, ‘না, আমরা বাণিজ্য চুক্তিই চাই’। এইভাবেই পারমাণবিক যুদ্ধ থেমে যায়।
ট্রাম্প গেহে সরাসরি আসিম মুনিরের নাম নেননি, তবে এর আগেও তিনি মুনিরকে ‘ব্যতিক্রমী মানুষ এবং অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নয়াশতাব্দী/ইআর