২৯ আষাঢ়, ১৪৩২

১৪ জুলাই, ২০২৫

পটুয়াখালীতে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীতে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীতে জাতীয় মহিলা সংস্থার আওতায় তৃনমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের টাকা লুটপাটের অভিযোগে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু নাঈম এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার(১৩ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন প্রশিক্ষণার্থীরা।

এসময় তারা জানান, তৃনমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পে ফ্যাশন ডিজাইন, ক্যাটারিং, ইন্টেরিয়র এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিউটি পার্লার, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড ই- কমার্স শিক্ষা দেয়া হয়। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রশিক্ষক ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে কর্মশালা হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন কর্মশালাই অনুষ্ঠিত হয়নি। যা গত মাসের ১৭ জুন কর্মশালা বাবদ ৮২ হাজার টাকা উত্তোলন করেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু নাঈম। যা টাকার বিষয়ে কোন প্রশিক্ষকই জানেন না। এছাড়া মহিলা উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ উপকরণের মালামাল বাবদ ৬৫ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুললেও এখন পর্যন্ত কোন প্রশিক্ষককেই মালামাল কিনে দেননি আবু নাঈম। বরং অনেক প্রশিক্ষক তাদের নিজের টাকা দিয়ে উপকরণের মালামাল কিনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ফুড কর্নার নামে একটি দোকানকে ভাড়া বাবদ ৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আবু নাঈম দিচ্ছে ৪ হাজার টাকা। বাকী টাকার বিষয়ে নাকি ডিসি জানেন বলেন আবু নাঈম। চলতি বছরের বিভিন্ন ট্রেডের মেয়েদের প্রশিক্ষণ বাবদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু নাঈম। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে ভুল মোবাইল নম্বর এবং অনেক মেয়েই সেই টাকার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানাগেছে। প্রশিক্ষনে নাম অন্তর্ভুক্তের জন্য মেয়েদের থেকে পাঁচশত থেকে দুই হাজার টাকা নিচ্ছেন প্রশিক্ষক শিরিনা। এছাড়া পানি, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ইন্টারনেট বিলসহ বিভিন্ন ভাউচার দেখিয়ে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু নাঈম।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু নাঈম বলেন, আমি প্রকল্পের কোন টাকাই লুটপাট করিনি। তবে কর্মশালা না করেও কেন টাকা উত্তোলন ও প্রশিক্ষণের উপকরণের মালামাল না কিনেও কোন টাকা উত্তোলন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে আর উপকরণের মালামাল বাবদও প্রশিক্ষকদের টাকা দেয়া হবে। এছাড়া ফুড কর্নার দোকানের ভাড়ার বিষয়ে দোকান মালিককে চার হাজার টাকা দেয়া হয় এবং বাকি চার হাজার টাকার বিষয়ে ডিসি জানেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন জানান, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আবু নাঈম এর দূর্নীতির বিষয়ে আমার জানা নেই। এরকম কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

নয়াশতাব্দী/এনএ