২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

১৭ মে, ২০২৫

আইপিএলে কোহলির নতুন ইতিহাস

নয়া শতাব্দী প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
আইপিএলে কোহলির নতুন ইতিহাস

রেকর্ড আর ভিরাট কোহলি যেন সমান্তরাল শব্দ, একসাথে চলতে ভালোবাসেন। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আরও একটি রেকর্ড গড়লেন এ ব্যাটার। এই টুর্নামেন্টে তার ব্যাট থেকে আসা বাউন্ডারির সংখ্যা এখন এক হাজার। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কোহলির আইপিএল বাউন্ডারির সংখ্যা ছিল ৯৯৮টি। হাজার বাউন্ডারির মাইলফলকে পৌঁছাতে বাকি ছিল মাত্র দুটি।

বিরাট কোহলি আর রেকর্ড যেন একে অপরের সঙ্গী। ব্যাট হাতে বাইশ গজে নামলেই নতুন নতুন রেকর্ড ধরা দেয় তার কাছে। আইপিএল ইতিহাসে সর্বকালের শীর্ষ রান সংগ্রাহক তিনি। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিযোগিতায় ৮ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আগেই। এবার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএলে হাজার বাউন্ডারি মেরে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় এই ব্যাটার।

হাজার বাউন্ডারির মাইলফলকে পৌঁছাতে দুটি বাউন্ডারি দরকার ছিল কোহলির। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে বড় কোনও ইনিংস খেলতে না পারলেও দুটি ছয় ও একটি চারে ১৩ বলে ২২ রান করেন এবং পেরিয়ে যান হাজার বাউন্ডারি। ২৮০ ছয়ের সঙ্গে ৭২১ চারে তার বাউন্ডারি সংখ্যা এখন ১০০১টি।

কোহলির আশেপাশে কেউ নেই। একমাত্র শিখর ধাওয়ান ৯০০ বাউন্ডারির মাইলফলকে। বাঁহাতি ভারতীয় ওপেনার ৭৬৮ চার ও ১৫২ ছয় মিলিয়ে ৯২০ বাউন্ডারির মালিক। তিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার মেরেছেন ৮৯৯টি চার-ছক্কা। তবে মেগা নিলামে ওয়ার্নারকে কোনো দল না নেওয়ায় আইপিএলে খেলা হচ্ছে না ৩৮ পেরোনো ওয়ার্নারের।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টি-টোয়েন্টি লিগে সর্বোচ্চ চার-ছক্কা মারা শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কোহলি, রোহিত শর্মা (৮৮৫) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (৬২৮) এই মৌসুমেও খেলছেন। জৌলুশ হারিয়ে ফেলা ধোনি এখনো আইপিএল থেকে অবসর না নেওয়ায় এবার বেশ সমালোচিত হচ্ছেন। রোহিতও ব্যাট হাতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। তবে কোহলি বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলে যাচ্ছেন।

৩৬ বছর বয়সী কোহলি আরও কয়েক মৌসুম খেললে আইপিএলে রানের পাশাপাশি বাউন্ডারি সংখ্যাতেও কোহলি নিশ্চিতভাবে নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাবেন। তাই অদূর ভবিষ্যতে কোহলিকে ছোঁয়ার সাধ্য কারও নেই, তা বলাই যায়।