১৬ আষাঢ়, ১৪৩২

০১ জুলাই, ২০২৫

মোকাদ্দেস হানিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পিতৃত্ব অস্বীকারের অভিযোগ মবিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ২:১৫ অপরাহ্ন
মোকাদ্দেস হানিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পিতৃত্ব অস্বীকারের অভিযোগ মবিনার

রাজধানীর আদাবরের এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাদ্দেস হানিফ টলিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নারী কর্মী মবিনা জান্নাত।

রোববার রাজধানীর ইস্কাটনের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বৈবাহিক সংকট ও কর্মক্ষেত্রে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মোকাদ্দেস তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার একই কাজ করেন।

মবিনা জানান, ২০১৭ সালে খোরশেদ আলম রোমেল নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে স্বামীর নির্যাতনের কারণে ২০২০ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর কর্মসূত্রে পরিচয় হয় মোকাদ্দেস হানিফের সঙ্গে। ২০২২ সালের এপ্রিলে মবিনা জানতে পারেন, তিনি সন্তানসম্ভবা।

অভিযোগ অনুযায়ী, গর্ভধারণের পর মোকাদ্দেস বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন এবং সন্তানের দায় নিতে অস্বীকৃতি জানান। বাধ্য হয়ে মবিনা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তানের পিতৃত্ব নির্ধারণের উদ্যোগ নেন। পরীক্ষার ফলাফলে মোকাদ্দেস হানিফই সন্তানের জৈবিক পিতা হিসেবে প্রমাণিত হলেও তিনি তা স্বীকার করেননি।

সংবাদ সম্মেলনে মবিনা বলেন, আমি সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য লড়ছি। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রাণনাশের হুমকি এবং সামাজিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা চলছে।

তার দাবি, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও প্রভাবশালী আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহায়তায় ৫ মে জামিনে মুক্তি পান মোকাদ্দেস হানিফ। এরপর থেকেই তাকে এবং তার আড়াই বছরের শিশু সন্তানকে গুম ও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

মবিনা জানান, তার মেয়ের হার্টে ছিদ্র রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে বিদেশে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মোকাদ্দেসের বিরুদ্ধে আইনি ও সামাজিক সুরক্ষার দাবি জানিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোকাদ্দেস হানিফ বলেন, এই সন্তান আমার। বিষয়টি পরবর্তীতে সুরাহা করব। এরপর তিনি ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

নয়াশতাব্দী/ইআর