১৬ আষাঢ়, ১৪৩২

৩০ জুন, ২০২৫

আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে ভারতীয় ভিডিও ছড়াচ্ছে: প্রেস উইং

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন
আওয়ামী লীগ সমর্থকরা ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে ভারতীয় ভিডিও ছড়াচ্ছে: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সমর্থকরা একটি পুরোনো ভারতীয় ভিডিয়ো ভাইরাল করে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নামে মিথ্যাচার করছে।

রোববার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দু’টি কিশোর দলের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ছড়িয়ে দিয়ে এটিকে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে মিথ্যা দাবি করছে।’

ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরিহিত কিছু ছাত্র একে অপরকে চড়-থাপ্পড় দিচ্ছে ও লাথি মারছে।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এটি ভারতের কেরালায় ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের মারামারির দৃশ্য, বাংলাদেশের নয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ডিবিসি হিন্দি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়, এর শিরোনামে লেখা ছিল, ‘কেরালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ভাইরাল’।

ভিডিওর বর্ণনায়ও এটি কেরালার ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের সংঘর্ষের দৃশ্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেস উইংয়ের মতে, ভিডিওটি নতুন নয়, এটি মূলত ২০২৩ সালের।

একই ভিডিও ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাও’-এর ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম ছিল-‘কেরালার রাস্তায় ছাত্রদের হতবাক করা মারামারির ভিডিও ভাইরাল। দেখুন।’

টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কেরালার রাস্তায় ছাত্রদের দু’টি পক্ষের সংঘর্ষের একটি হতবাক করা ভিডিও সামনে এসেছে। এতে অন্তত ২০ জন ছাত্র জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্ররা একে অপরকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারছে।’

কেরালার ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে, এটা স্পষ্ট যে এর সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

২০২৩ সালের একটি পুরোনো ভিডিও, যেখানে ভারতের কেরালায় ছাত্রদের সংঘর্ষ যাচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়,  একে ইন্টারনেটে এমন ভুয়াভাবে ছড়ানো হচ্ছে যেন এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র সহিংসতার উদাহরণ। এর সঙ্গে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা।

নয়াশতাব্দী/এসআর