১৬ আষাঢ়, ১৪৩২

৩০ জুন, ২০২৫

সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবসে দিনাজপুরে শপথ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ৩:১৯ অপরাহ্ন
সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবসে দিনাজপুরে শপথ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

দিনাজপুরের লোকভবন টাউন হল প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

সোমাবার (৩০ জুন) লোকভবন টাউন হল প্রাঙ্গণে এই  ঐতিহাসিক সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তারেক কবিরাজ এবং পরিচালনা করেন আদিবাসী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন এক্কা। দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিলো সাঁওতাল নৃত্য পরিবেশনা, আলোচনা সভা, এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। দিনাজপুর নিমনগর বালুবাড়ি স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও শপথ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহের তাৎপর্য ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদিবাসী ও কৃষকদের অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড বদরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন এবং দিনাজপুরের কৃষক নেতারা। 

সভায় বক্তারা বলেন, সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাস শুধু অতীত নয়, এটি আজও প্রাসঙ্গিক। শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবসের এ আয়োজন নতুন প্রজন্মকে সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে।

সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ বা সাঁওতাল হুল ১৮৫৫ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও জমিদার মহাজনের বিরুদ্ধে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র আন্দোলন। চার ভাই সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে সংঘটিত এই আন্দোলন ব্রিটিশ ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। যুদ্ধে সাঁওতালদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের চেতনা আজও বাংলাদেশের কৃষক ও আদিবাসী আন্দোলনের জন্য প্রেরণার উৎস।

নয়াশতাব্দী/এসআর