
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। গত ১৪ মে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে ইশরাক হোসেনকে নিয়ে ব্যাঙ্গ প্রতিকৃতি অংকন করেছেন নেটিজেনরা।
গত বুধবার (২১ মে) ইশরাক হোসেন নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রতিকৃতিটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, "Love it!! Made me laugh,হাসি ধরে রাখতে পারলাম না।"
ইশরাক হোসেনের এই ইতিবাচক মন্তব্যকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখছেন নেটিজেনরা। ইশরাক হোসেনের মন্তব্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, জনগণের বাকস্বাধীনতাকে সম্মান প্রদর্শনের দৃষ্টান্ত মনে করছেন তারা।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনার আমলে, সাধারন জনগণ থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমগুলোর বাকস্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল বলে জাতীয় নাগরিক পার্টি মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ যমুনা টিভির এক টক শো তে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি আরও বলেছেন, হাসিনার আমলে কেউ "শেখ মুজিব" ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে মত পার্থক্য বা ব্যাঙ্গাত্বক কোন প্রতিকৃতি লক্ষ্য করলেই তাকে সাইবার আইনের আওতায় জেলে ঢোকানো হতো। সাধারন মানুষের ও সংবাদ মাধ্যমগুলোর বাকস্বাধীনতাকে হরণ করে তাদের জিম্মি করে রাখা হয়েছিল বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সম্প্রীতি নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে নেটিজেনদের তৈরি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সহ "বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় অধিবেশন কাউন্সিল ২০০৯" এর একটি ব্যাঙ্গাত্বক ছবি প্রকাশ করে। তিনি বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম স্বাধীনতা দিবসে ছবি টি শেয়ার করার মাধ্যমে সংবাদ মাধ্যম ও সাধারন জনগণের বাকস্বাধীনতা প্রতি সম্মান জানান। "সাংবাদিকরা হলেন গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ" তাই সকলের উচিৎ রাষ্ট্র-কতৃক দমন-পীড়নের অধীনে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পদ্ধতিগত ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষার করার কথাও বলেছেন তিনি।
নেটিজেনরা বলেন, কোন কথার মাধ্যমে ক্রাইম না হওয়া পর্যন্ত তাকে ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা বলা হয়। বিগত সরকারের মত এই স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে সাধারন মানুষকে হয়রানি মূলক কর্মকান্ড কোন ভাবেই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত বহন করে না। এবং জুলাই গণ গণঅভ্যুত্থান পরবর্তি বাংলাদেশে সাধরান জনগণ ও সংবাদ মাধ্যমগুলোর বাকস্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
নয়াশতাব্দী/এসআর