
ঈদুল আজহার আগের রাতে লেবাননের বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার আগে ইসরায়েলি বাহিনী এলাকার কয়েকটি ভবন খালি করার সতর্কতা জারি করেছিল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর একটি গোপন ইউনিট শনাক্ত করেছে, যা ভূগর্ভে ‘হাজার হাজার’ ড্রোন উৎপাদন করছিল এবং এটি ‘ইরানি সন্ত্রাসীদের অর্থায়নে’ পরিচালিত হচ্ছিল। গত ছয় মাস ধরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চললেও অনেকটা অতর্কিতভাবে এই হামলা চালানো হয়।
এ হামলার পর লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম এক্সে পোস্ট করে এই হামলাকে ‘জঘন্য ও ইচ্ছাকৃত’ আক্রমণ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এই হামলাকে আমাদের স্বদেশ, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও অর্থনীতির বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত হামলা হিসেবে দেখছি—বিশেষ করে উৎসবের প্রাক্কালে এবং পর্যটন মৌসুমে।’
হামলার সতর্কতার পর ওই অঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দা দ্রুত এলাকা ছেড়ে যান, যার ফলে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওন এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে বর্ণনা করেন এবং বলেন, এটি ‘একটি পবিত্র ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে’ ঘটেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর ‘ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার’ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের আক্রমণের একটি প্রধান হাতিয়ার এবং এটি ‘ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যকার সমঝোতার সরাসরি লঙ্ঘন’।
হামলার এক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচাই আদরাঈ হাদাথ, হারেত হরেইক ও বোরজ আল-বরাজনেহ এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মানচিত্রসহ পোস্ট করে বলেন, ‘আপনারা হিজবুল্লাহর অবকাঠামোর পাশে আছেন’।