৩ আষাঢ়, ১৪৩২

১৭ জুন, ২০২৫

বোয়িং-৭৮৭ দুর্ঘটনার পর সতর্ক অবস্থানে বিমান বাংলাদেশ

ইমন হোসেন প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
বোয়িং-৭৮৭ দুর্ঘটনার পর সতর্ক অবস্থানে বিমান বাংলাদেশ

সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে এ মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে সতর্কতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বহরে থাকা একই মডেলের উড়োজাহাজগুলোর উপর বাড়তি নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বহরে থাকা ৬টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার— যার মধ্যে ৪টি ৭৮৭-৮ এবং ২টি ৭৮৭-৯ মডেল— নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক রুটে ব্যবহৃত হয়। দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত চলমান থাকলেও, যাত্রী নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ফুয়েল সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল, হাইড্রোলিক, ফ্লাইট কন্ট্রোল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমের মান যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

বিমানের প্রকৌশল বিভাগ জানায়, প্রতিটি উড়োজাহাজের ‘ইঞ্জিন পাওয়ার অ্যাসুরেন্স চেক’ও সম্পন্ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বোয়িং নির্মাতা কোম্পানির কাছ থেকে তদন্ত-পরবর্তী যেকোনো কারিগরি নির্দেশনা পেলেই তা তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। প্রতিটি মেইনটেন্যান্স টাস্ক নির্ধারিত সময় ও প্রক্রিয়া অনুসারে টাইপ রেটেড প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় এবং তা কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স কর্তৃক যাচাই করে সংরক্ষণ করা হয়।

এছাড়া, ‘এয়ারক্রাফট হেলথ ম্যানেজমেন্ট’ ও ‘ইঞ্জিন হেলথ ম্যানেজমেন্ট’ সিস্টেমের মাধ্যমে বিমানের কেন্দ্রীয় মেইন্টেন্যান্স কন্ট্রোল সেন্টার প্রতিটি উড়োজাহাজের অবস্থা রিয়েল টাইমে পর্যবেক্ষণ করে। এর ফলে, যেকোনো সম্ভাব্য সমস্যা পূর্বেই শনাক্ত করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং ফ্লাইট অপারেশনে কোনো প্রকার ঝুঁকি না নিতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।