
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন মিরগাং ও যতীন্দ্রনগর থেকে বনদস্যু জোনাব বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। সোমবার (১৬ই জুন) রাত সাড়ে নয়টায় ও এগারোটার দিকে দুই দফায় তাদেরকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মৃত নওশাদ গাজীর ছেলে নজির গাজী (৫৫) ও খুলনার কয়রা উপজেলার বইকারী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলের দিদারুল ইসলাম (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়লের বাড়ির সামনে দীর্ঘদিন বসবাসকারী আলম মোড়লের স্ত্রী মনির বাড়িতে মোটরসাইকেলের সহযোগিতা পেতে রাত ৮টার দিকে বনদস্যু জোনাব বাহিনীর দুজন সহযোগীসহ মোট ৫জনকে নিয়ে হাজির হন নজির। সহযোগিতায় এগিয়ে আসা সিদ্দিক ও সফিকুলের কাছে তাদের কথোপকথন সন্দেহজনক মনে হলে, তাদেরকে সাহায্য না করে বিষয়টি স্থানীয়দের জানান।
স্থানীয়রা দ্রুত ঘটানা স্থলে গিয়ে একটি বন্দুক ও দা'সহ দস্যু বাহিনীর সদস্য দিদারুল ও পরবর্তীতে দলনেতা নজিরকে আটক করে। তবে তারা নিজেদেরকে জেলে ও শ্রমীক হিসেবে দাবী করেন।
মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাসেম মোড়ল জানান, নাজির নবাব সিরাজুল সহ ৫-৬ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল ইতিপূর্ব থেকে এ ধরনের কাজ করে আসছে। আজ তাদের একজন জনতার হাতে হাতেনাতে আটক হয়েছে। আমরা শ্যামনগর থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি এবং শ্যামনগর থানার ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে এসে অস্ত্র উদ্ধার করে।
ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় অস্ত্রসহ দুই ডাকাত আটক হলেও বাকি তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পলাতকদের খুঁজে বের করা সহজ যারা তাদের পালাতে সহযোগিতা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা দরকার।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি ডাকাতি প্রস্তুতি ও অন্যটি অস্ত্র আইনে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ পরবর্তী বাকিদের ধরতে অভিযান পরিচালিত হবে।
নয়াশতাব্দী/এনএ