২৮ আষাঢ়, ১৪৩২

১২ জুলাই, ২০২৫

মিটফোর্ড ইস্যুতে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ২:৫৪ অপরাহ্ন
মিটফোর্ড ইস্যুতে কেউ কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে: রিজভী

মিটফোর্ডের ঘটনায় কেউ কেউ রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, গতকাল (১১ জুলাই) মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সত্য উদঘাটন করার দায়িত্ব হচ্ছে প্রশাসনের বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। এ ঘটনায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের যাদের নাম পাওয়া গেছে তাদেরকে রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

রিজভী বলেন, দুই একটি রাজনৈতিক দল মিছিল করছে, তারা বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। আমরা যদি শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকতাম, অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতাম, তাদের বহিষ্কার না করতাম তাহলে এক কথা ছিল কিন্তু আমাদের দল অবিলম্বে বিচার করেছে ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেনো- রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য? আমরা আপনাদের অতীত অপকর্ম ভুলে যাইনি।শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি  একথা বলেন। 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরো বলেন, আমরা ভুলে যাইনি সেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্রগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের ছাত্রদের কিভাবে পায়ের রগ কাটা হয়েছে। কিভাবে বাসের ভেতর থেকে ছাত্রদল নেতাকে ধরে বিনোদপুর গ্রামে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আপনাদের নৃশংসতা ও  ভয়াবহতা মানুষ ভুলে যায়নি। এখনো আপনাদের দেখলে সেই উপাধিগুলো মানুষ দেয়। আর আপনারা এখন মিছিল করেন। বিএনপির ইতিবাচক দিকগুলো উপেক্ষা করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন তাতে কোনো লাভ হবে না।  

রিজভী বলেন, খুলনায় পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হলো। কই এটা তো বলছেন না? চাঁদপুরে পবিত্র মসজিদে ঢুকে ইমামকে কুপিয়েছে- এটা তো বলছেন না! আমরা সোহাগ হত্যাসহ সব হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। সেখানে দুই একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পড়তে পারে- সব সময় খোঁজ রাখা যায় না। কিন্তু দুস্কৃতকারীদের কোনোভাবে যদি চিহ্নিত করা যায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করা হয় না। গত পরশু রাতে পাবনার সুজানগরে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল, সে রাতেই তাদের বহিস্কার করা হয়েছে। গতকালের যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে তার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ কোনো কোনো রাজনৈতিক দল দেখছি ওই ঘটনাকে রাজনৈতিক কালার দেয়ার চেষ্টা করছে। এখানে দল কোথায় জড়িত? দলের নামধারী কেউ হতে পারে। এখানে তো দলের পদ পদবি নিয়ে সংঘর্ষ হয়নি। দলের মতাদর্শ নিয়ে ঝগড়া হয়নি, ঝগড়া হচ্ছে তাদের ব্যবসা নিয়ে, এগুলো তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনারা শুনেছেন ভাঙারি ব্যবসা নিয়ে ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে দল হিসেবে কোথায় জড়িত?  

রিজভী বলেন, যে কোনো ধরনের অপকর্ম, সংঘাত বা মানুষ হত্যায় যারা জড়িত তাদের ছাড় নেই। মাটির গভীরে গেলেও সেখান থেকে ধরে এনে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

নয়া শতাব্দী/ইআর