
উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রূপকার সফল সন্তানদের উৎসাহ দিতে এবং তাঁদের পেছনের নিঃস্বার্থ অবদানকারী মায়েদের সম্মান জানাতে এবারও আয়োজন করা হলো ‘মা পদক ২০২৫’।
২০২২ সাল থেকে নিয়মিতভাবে দেশের বিভিন্ন খাতের সফল সন্তানের গর্বিত মায়েদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আলী-রূপা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং মাদিহা মার্সিহা অ্যাডভারটাইজিং-এর আয়োজনে, আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে এবারও আয়োজিত হয় ‘মা পদক ২০২৫’ প্রদান অনুষ্ঠান।
গত ১০ মে, রাজধানীর নিকুঞ্জে হোটেল রিজেন্সির ‘গ্রান্ড সামিট হল-১’-এ বিকেল ৪টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী ডলি জহুর। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য, কবি, গীতিকার এবং রঙ্গন মিউজিকের কর্ণধার মোঃ জামাল হোসেন ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নির্দেশক রুমানা রশীদ ঈশিতা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল হক এবং আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন।
অনুষ্ঠানে মা পদক ২০২৫ পান:
অভিনেত্রী চিত্রলেখা গুহের মা
অমিত হাসানের মা মালিহা রহমান
মো. শাহেদ শরীফ খানের মা কামরুন্নাহার বেগম
তনিমা হামিদের মা ফাল্গুনী হামিদ
শিক্ষক আকলিমা স্বর্ণার মা রফিকুন্নেসা রশীদ
উদ্যোক্তা ফজিয়া কামরুন তানিয়া ও তাসনিয়া কামরুন আনিকার মা ফজলুতুননেছা
অঞ্জন সরকারের মা রেণু বালা সরকার
তারেক আনন্দের মা তাহমিনা বেগম
অর্ষার মা মাসুদা হক
নাবিলার মা শাহানা চৌধুরী
আলমগীর কবিরের মা নাজমুন্নাহার
টুম্পা ফেরদৌসের মা তাইয়েবুন নেছা
কোনালের মা সায়মা মনির মিনু
বাবুল হোসাইনের মা সুফিয়া খাতুন
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপিকা শান্তা জাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডলি জহুর বলেন, “সারা জীবন আমি অভিনয়ের স্বীকৃতি পেয়েছি, কিন্তু আজ মায়েদের হাতে সম্মাননা তুলে দিতে পারাটা এক অন্যরকম অনুভূতি। অভি’র এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”
বিশেষ বক্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, “মায়েদের হাতে সম্মাননা তুলে দিতে গিয়ে বারবার আমার নিজের মায়ের মুখ মনে পড়ছিলো।”
ঈশিতা বলেন, “আমার মা আজ নেই, কিন্তু এমন আয়োজনে তাঁর অনুপস্থিতি হৃদয় ভারাক্রান্ত করে তোলে।”
অনুষ্ঠানে সকল সম্মাননা প্রাপ্ত মায়েদের ক্রেস্ট, মেডেল, গয়নার বাক্স ও হাওর জিন্সের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। ‘নন্দন অডিও ভিশন’-এর সৌজন্যে কাটা হয় মা দিবসের কেক।
অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে গান পরিবেশন করেন ইয়াসমিন লাবণ্য, জোবায়ের জাহাঙ্গীর জয় এবং তানজিন মিথিলা।
বক্তব্য দেন ফজিয়া কামরুন তানিয়া ও তাসনিয়া কামরুন আনিকা। তাঁদের প্রয়াত বাবা, দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস এবং মা ফজলুতুননেছার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষা শেষে উদ্যোক্তা হয়ে দেশের সেবা করাই আমাদের স্বপ্ন ও অঙ্গীকার।”
নয়াশতাব্দী/ইআর