
জুলাই বিপ্লবের সময় হত্যাযজ্ঞ চালাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী কী করেছিলেন, তা তুলে ধরলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
রোববার (১ জুন) দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারকাজ।
শুরুতে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর। ১৩টি ভলিউমে সাড়ে ৮ হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে গুম খুন-নির্যাতনের বর্ণনাও তুলে ধরা হয়। জুলাই বিপ্লবের সময় হত্যাযজ্ঞ চালাতে কী কী করেছিলেন শেখ হাসিনা তা যখন ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তখন এজলাসে পিনপতন নীরবতা।
১৩৫ পৃষ্টার মূল আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, অপরাধের নিউক্লিয়াস এবং অপরাধীদের প্রাণভোমরা ছিলেন শেখ হাসিনা। গ্যাং অব ফোর হিসেবে ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হকের নাম উল্লেখ করেন তাজুল ইসলাম।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাদের যৌথ নির্দেশনা, পরিকল্পনা, উসকানিতে সারা দেশে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও ১৪ দল যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তা ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে গণ্য করার শামিল।
পরে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিশোধমূলক নয়, বিচার হবে প্রমাণনির্ভর। যেনো নতুন বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদী এই শক্তি ফিরে আসতে না পারে।
এদিন শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৬ জুন।
নয়াশতাব্দী/ইআর