
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, এখন দেশে নির্বাচন করার মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরা এখন ধরে নিতে পারি নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে। দেশে নির্বাচন না হয়ে কোনো উপায় নেই। এখন এই নির্বাচনটা আমরা কীভাবে করতে পারি, কীভাবে কী করলে ভালো হবে সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।
গতকাল শহরের নান্নু টাওয়ারে রাজবাড়ী কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা দোদুল্য অবস্থা ছিল। কেমন যেন কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের রাজনীতি। একটা ধোঁয়াশা ভাব, কী হয়, কী হয় না। এই ইউনূস সাহেব ও তার উপদেষ্টারা অনেকেই বললেন এই সরকার এসেছে, এই সরকার অনেকদিন থাকবে। সংস্কার শেষ হবে, বিচার শেষ হবে, তারপর দেশে নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান বলেছিলেন নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ও সময়ের বিষয়ে সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষনা দেন। যা জাতির জন্য কষ্টসাধ্য ও ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। এছাড়াও লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের বৈঠকে ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ পুরো জাতির স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এনসিপিকে জামায়াত সর্বদা সমর্থন করে আসছে। কিছু দিন আগে এনসিপি নির্বাচন চায় নি। জামায়াতও এ বিষয়ে একত্মতা প্রকাশ করে। এনসিপি যা বলে জামায়াত তাই করে। গত ১৭ বছর দেশে কোন নির্বাচন হয় নি। গণতন্ত্রের প্রধান শর্ত হলো নির্বাচন। তাই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন দরকার।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ সবুর শাহীন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবীব, যুগ্ম আহ্বায়ক আকমল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য এ মজিদ বিশ্বাস প্রমুখ।
নয়াশতাব্দী/এসআর