২ আষাঢ়, ১৪৩২

১৭ জুন, ২০২৫

নাগরিক সেবার অগ্রগতি করার ঘোষণা ইশরাকের

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ৩:১৮ অপরাহ্ন
নাগরিক সেবার অগ্রগতি করার ঘোষণা ইশরাকের

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সেবা কার্যক্রমের অচলাবস্থা কাটাতে নিজেদের তত্ত্বাবধানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মশক নিধন, জন্মসনদসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা নিজেদের তত্ত্বাবধানে চালু রাখার কথা জানান ইশরাক।

এর আগে নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে একটি সভা করেছেন ইশরাক হোসেন। নগর ভবনে এটিই তার প্রথম সভা। যে সভার ব্যানারে ইশরাক হোসেনের নামের সঙ্গে ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা ছিল। নগর ভবনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পরিচ্ছন্ন ঢাকা ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

পরে নগর ভবন প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা ঢাকা শহরে মশক নিধন কর্মসূচিকে বেগবান করার জন্য এবং সেটি যাতে চলমান থাকে, সেটি নিশ্চিত করার জন্য আজ থেকে আমরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করছি।

তিনি বলেন, আমরা ৭০টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। আমরা তাদের উৎসাহ দিয়েছি এবং নিশ্চিত করেছি যে ভবিষ্যতে তাদের সমস্যাগুলো আমরা দেখবো। আগামীকাল মঙ্গলবার আমাদের ৭০টির বেশি ওয়ার্ড সচিবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। দৈনন্দিন যে সেবা রয়েছে সেগুলো চলবে, কিন্তু আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আমরা প্রতিটি ওয়ার্ড সচিবদের কার্যালয়ে জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট, নাগরিক সার্টিফিকেট, ওয়ারিশ সার্টিফিকেটসমূহ ওয়ার্ড সচিবদের মাধ্যমে জমা নেব। যাতে আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় নগরবাসীর দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আগামী বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করব, যেন ডেঙ্গুর বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আমরা মনিটরিং টিম গঠন করব। সরকার যেন আর জনদূর্ভোগ না বাড়িয়ে, কালক্ষেপণ না করে আদালত যে রায় দিয়েছে সেটির বাস্তবায়ন করে আমাকে মেয়র হিসেবে শপথ করায়, এবং অচলাবস্থা যাতে কেটে যায় সে জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।

ইশরাক হোসেন বলেন, আপনারা জানেন, ডিএসসিসিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে যে রায় এসেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে সিটির মেয়র হিসেবে আমাকে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার আমাকে মেয়র পদে বসানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তাই আমরা গতকাল রবিবার অবস্থান কর্মসূচি বিরতিহীনভাবে ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু দীর্ঘদিন আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সেবার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হচ্ছে। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সকল জরুরি সেবা কিন্তু চলমান ছিল। আমরাই সেটা নিশ্চিত করেছি। আমরা বলেছি, আমাদের আন্দোলনের জন্য যাতে জনগণের দুর্ভোগ না বাড়ে।

ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা বারবার বলেছি, আমাদের আন্দোলনটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। ভোটাররা স্বতস্ফূর্তভাবে এখানে আসছে এবং তাদের দাবি জানাচ্ছে। সরকার যদি তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চায়, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত তারা যদি দায়িত্ব পালন করতে চায় এবং সেটি তারা জনগণকে বিশ্বাস করাতে চায়, তাহলে তারা যেন অতি দ্রুত শপথ করানোর আয়োজন করে। অন্যথায়, এই আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাবো।

নয়াশতাব্দী/এসআর