২ আষাঢ়, ১৪৩২

১৬ জুন, ২০২৫

বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে: আমীর খসরু

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৫, ৩:০৫ অপরাহ্ন
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে: আমীর খসরু

বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সেই পথেই দেশ অগ্রসর হবে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ও নতুন প্রজন্মও ভোট দিতে পারেনি। তাই তারা দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণ চান। এটিই ছিল আন্দোলনের মূল প্রত্যাশা। তাতে জনগণকে রাষ্ট্রের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি তারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও রোজার আগে বিচার ও সংস্কারের অগ্রগতি চায় কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। এ বিষয়ে ড. ইউনূস, তারেক রহমান এবং বিএনপির সব নেতৃবৃন্দ আগেই বলেছেন।

ঐকমত্য হতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয় বলে মনে করেন আমীর খসরু।

বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, বিচার বিভাগ বিচার করবে এবং বিচারের আওতায় আনারও বিষয় আছে। যারা বিচারের আওতায় আসবে, তার জন্য আরও প্রায় ছয় মাস সময় আছে। আর যারা এর মধ্যে আসবে না, তাদের জন্য তো আগামী সরকার আছে।

আগামী সরকারকে অনেককেও বিচারের আওতায় আনতে হতে পারে বলে উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার করবে বিচার বিভাগ। ফলে, এগুলো কোনো সমস্যা না।

সরকারের কী এখন নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়া দরকার আছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আর কোনো পথ নেই। এ বিষয়ে তারা সবাই ঐকমত্য পোষণ করছেন।

জামায়াত ও এনসিপির অভিযোগ— একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকার বিশেষ সম্পর্ক করছে, এ বিষয়ে বিএনপির মতামত জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাহলে এখানে সবার মতামত নেওয়ার সুযোগ আছে। সুতরাং সবাই তার মতামত দিতে পারে। আমার মনে হয় এটাই আমাদের গণতন্ত্রের বড় পাওয়া, সবাই তার নিজের মতামত দেবে। তার মধ্যেও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বিএনপি এতদিন ডিসেম্বরে নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন ফেব্রুয়ারিতে গেল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময় এবং এতটুকু সময়ও লাগার কোনো কারণ নেই। বিএনপি আগেই ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব সমস্যার সমাধান করে নির্বাচনের কথা বলেছেন। সুতরাং, ফেব্রুয়ারি আরও দীর্ঘ সময়। তবে, ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন যদি হয়, তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ওয়ান-টু-ওয়ান বৈঠকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে কোনো আলোচনা ছিল কিনা— জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই সরকার নিরপেক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের ধারণা হলো একটি নিরপেক্ষ সরকার। সুতরাং, নির্বাচনে সেই নিরপেক্ষতা সরকার নিশ্চিত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নয়াশতাব্দী/এসআর