
ইরান-ইসরাইল চলমান পরিস্থিতি নিয়ে হোয়াইট হাউসে একটি জরুরি বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে যোগ দেবে কিনা, তা নিয়েই এই বৈঠক বলে জানিয়েছে মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের মধ্যে একমত হওয়া সম্ভব হয়নি।
ইরানী নেতাদের আলোচনায় ফিরে আসার জন্য কয়েকদিন ধরে আহ্বান জানানোর পর, ট্রাম্প এখন বিবেচনা করছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত হবে কিনা।
মঙ্গলবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে, ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
এতে বলা হয়, একটি সম্ভাব্য লক্ষ্য হতে পারে ফোর্ডোতে অবস্থিত ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা যা ভূগর্ভস্থ গভীরে অবস্থিত।
শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই এটি ধ্বংস করতে সক্ষম বোমা রয়েছে। সিবিএস নিউজ অনুসারে, তবে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা কীভাবে এগিয়ে যাবেন তা নিয়ে এখনও দ্বিধাগ্রস্ত।
এদিকে, মার্কিন ও ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ট্রাম্প বৈঠকের পরে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন, তবে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।
গত তিন দিনে, কমপক্ষে ৩০টি মার্কিন সামরিক ট্যাঙ্কার বিমান, যা যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমানে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হয় তা ইউরোপে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ঝড়ের মধ্যে, ট্রাম্প ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেছেন।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি, গত রাতে তার নিজস্ব একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বলেছেন, তার দেশ জায়নবাদীদের সাথে কখনও আপস করবে না।
নয়াশতাব্দী/ইআর