
হলি আর্টিজান মামলায় ৭ জনের আমৃত্যু মত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২২৯ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ে বলা হয়েছে, ‘আলোচ্য হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনার ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া— বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রদান করা হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে আমরা মনে করি।’
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন— রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।
ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আপিল ও জেল আপিলের শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই রায় দেন। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস ও নির্মম জঙ্গি হামলা হয়। সেখানে কুপিয়ে ও গুলি করে বিদেশিসহ ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে ইতালির নাগরিক নয়জন, জাপানের সাতজন, ভারতের একজন ও বাংলাদেশি তিনজন ছিলেন। সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা।
হোলি আর্টিজান বেকারিতে ওই হামলার মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর নব্য জেএমবির সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। পরে মামলার নথিপত্র পাঠানো হয় হাইকোর্টে। অন্যদিকে আপিল ও জেল আপিল করেন আসামিরা।
নয়াশতাব্দী/ইআর