
ইসরায়েলের চলমান অপারেশন রাইজিং লায়নে ইরানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৬৩৯ জন। আহত ১ হাজার ৩২০ জনের বেশি। বুধবার (১৮ জুন) এ তথ্য প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৬৩ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ১৫৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য এবং নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হতাহতের সংখ্যা যাচাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের সাথে ৭ দিন ধরে চলমান সংঘাতে হতাহতের বিষয়ে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করছে না ইরান। সবশেষ ২২৪ জনের মৃত্যু ও ১ হাজার ২৭৭ জন আহতের খবর জানিয়েছিল তারা।
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে— ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হামলার পরিকল্পনায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও নির্দেশ দেননি তিনি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন— ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে শেষ পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তবে তেহরান শেষ মুহূর্তে কোনো সমঝোতায় আসে কিনা, তা দেখার জন্য কিছুটা সময় নিয়ে থাকতে পারেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। এটি পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত এবং সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, কেবল সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা দিয়েই এ স্থাপনাটি ধ্বংস করা সম্ভব।
নয়াশতাব্দী/ইআর