
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি থেকে সরবে না বিএনপি। সেই দাবির প্রতি অনঢ় অবস্থানের কথা প্রকাশ করতেই আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে মির্জা ফকরুলের নেতৃত্বাধীন দলের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে-ডিসেম্বর না জুন এমন একটা ধোয়াশা সৃষ্টি হওয়ায় বিষয়টি স্পষ্ট করার তাগিদ দেবে বিএনপি। যদিও দলটি এই সময়সীমা নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়।
বিএনপি আগামীকালের বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইবে। সেই সাথে নির্বাচন নিয়ে কোনো কোনো মহলের ভিন্ন ধরনের বক্তব্য নিয়ে সরকারের অবস্থান জানার চেষ্টা করবে। উচ্চপর্যায়ের দলীয় সূত্রগুলো জানায়, এই বৈঠকে নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ ছাড়া সন্তুষ্ট হবেন না বিএনপি নেতারা। সেটা না পেলে আন্দোলনের দিকে অগ্রসর হওয়া ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা প্রধান উপদেষ্টাকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমার ব্যাপারে তার পূর্ব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দেবেন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতির একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আদায় করার চেষ্টা করা হবে। সেই সাথে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি শুরু করতে বলবে তারা।
এদিকে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি মহলের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারণায় সন্দিহান হয়ে উঠেছে বিএনপি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য না আসায় অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
বিএনপি নেতাদের দাবি, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি হলেও কিছু অতি সীমিত জনসমর্থনের দল সেই সুযোগকে নিজেদের স্বার্থে এজেন্ডা হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। বিএনপি আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে জনগনের প্রতি তার দায়বদ্ধতা স্পষ্ট করেছে।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের ব্যাপারে আন্তরিক থাকলেও তার আশেপাশে থাকা আওয়ামী ঘেঁষা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে ভিন্নপথে চালিত করতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির এই বৈঠকের ওপরই মূলত নির্ভর করছে -বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবে, নাকি আন্দোলনের পথে অগ্রসর হবে।
নয়া শতাব্দী/ এসই