
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কোনও কোনও রাজনৈতিক দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি তুলেছে। বিশ্বের কিছু দেশে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান অবস্থায় এটি কতটুকু উপযোগী ও এর আড়ালে স্বৈরাচারকে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে কি না তাও ভাবতে হবে। এই পদ্ধতি ঐক্যের পরিবর্তে বিভক্তি তৈরি করতে পারে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে দলটির কর্মসূচির প্রথম দিনে এক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে ইনসাফভিত্তিক সমাজের মধ্য দিয়ে শহীদদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়। অযথা বিতর্ক বা কূটতর্কে সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন বাংলাদেশ ভোলেনি, তেমনি চব্বিশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার বীরযোদ্ধাদেরও বাংলাদেশ ভুলবে না। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন সড়ক ও স্থাপনার নামকরণ করবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে জনগণের প্রতিদিনের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। সংস্কারের ইস্যু নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যস্ত রাখলে জনগণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এ সময় ফ্যাসিবিরোধী দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
নয়াশতাব্দী/এসআর