৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

১৫ জুন, ২০২৫

ডায়াবেটিস থাকলেও যে ফলগুলো খেতে পারবেন

নয়াশতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৫, ১:২৫ অপরাহ্ন
ডায়াবেটিস থাকলেও যে ফলগুলো খেতে পারবেন

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রসালো, সতেজ ফল খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিছু বাধা-নিষেধ থাকে। যদিও অনেক ফলে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তবে সবগুলোই যে খাওয়া যাবে না, এমন নয়। বেশ কিছু গ্রীষ্মকালীন ফল রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি না করে হাইড্রেশন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে - যদি পরিমিত খাওয়া হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ফল পছন্দের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. জাম

জাম হলো একটি গ্রীষ্মকালীন ফল যা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে প্রিয়। মাত্র ২৫ এর গ্লাইসেমিক সূচক এবং জাম্বোলিনের মতো যৌগ সমৃদ্ধ, জাম স্টার্চকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে, সেইসঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আয়ুর্বেদিক ফর্মুলেশনেও এর বীজের গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়। 

২. পেয়ারা

টক-মিষ্টি স্বাদের পেয়ারা কম ক্যালোরি এবং ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য আদর্শ। ভিটামিন সি এর পরিমাণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি। ফাইবার ধরে রাখার জন্য জুসের পরিবর্তে আস্ত ফল খান।

৩. পেঁপে

এই ফল কেবল পেটের জন্য হালকা নয়, গ্লাইসেমিক স্কেলেও কম। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। এক বাটি পাকা পেঁপে আপনার মিষ্টি খাবার খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সাহায্য করতে পারে।

৪. তরমুজ

হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরা তরমুজ খেতে পারেন তবে অল্প পরিমাণে। যদিও এতে চিনির পরিমাণ বেশি, তবে এতে প্রায় ৯০% পানিও রয়েছে, যা হাইড্রেশনে সাহায্য করে। প্রোটিন বা ফ্যাট (যেমন এক মুঠো বাদাম) এর সঙ্গে এটি মিশিয়ে খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল হতে পারে।

৫. পীচ

পীচ হলো ভিটামিন এ, সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ একটি সুগন্ধি, পুষ্টিকর ফল। সিরাপের মধ্যে টিনজাত পীচ ফল খাওয়ার পরিবর্তে তাজা ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি হাইড্রেট করে এবং শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে সাহায্য করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও।

নয়াশতাব্দী/ইআর