
মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ৫জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও পুলিশ ইকবাল হোসেন তামিম নামে এক নিরপরাধ কিশোরকে গ্রেফতার করে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আজ শনিবার দুপুরে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কুলিয়ারচরে লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। এসময় তারা গ্রেফতারকৃত কিশোর তামিমের মিথ্যা আসামি থেকে নাম প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুর রহমান, কবির হোসেন, আমিনুল ইসলাম ও আমির হামজাসহ বক্তারা বলেন, মামলার এজাহারে তামিমের নাম না থাকলেও তাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে কুলিয়ারচর থানার পুলিশ তদন্তছাড়া গত ১১জুন, বুধবার আকবরনগর বাসস্ট্যান্ডের নিজ ফলের দোকান থেকে তামিমকে গ্রেফতার করেন। যাহা খুবই অমানবিক ঘটনা।
তামিম সে ফলের ব্যবসায় সময় দেয় দিনরাত। ছেলে হিসেবে এলাকায় নম্রভদ্র। এমন একজন নিরপরাধ ছেলেকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই তারা তামিমের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য, গত ৪জুন রাত পৌনে ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে মোহাম্মদ আলীকে গতিরোধ করে অপহরণ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্য উপজেলার বাজরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন নিয়ে হাত-পা বেধে বেধরক মারপিটসহ একটি চোখ উপড়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে গুরুতর আহতবস্থায় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এখনো সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই ঘটনায় মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হেনা বেগম ৫ জনের নাম উল্ল্যেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪ জনকে অভিযুক্ত করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্রধরেই সন্দেহভাজন হিসেবে তামিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান কুলিয়ারচর থানা পুলিশ।
নয়াশতাব্দী/ইআর