২ আষাঢ়, ১৪৩২

১৬ জুন, ২০২৫

আজানের জবাব দিলে যে পুরস্কারের কথা বলেছেন নবীজি

নয়াশতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৫, ৫:১১ অপরাহ্ন
আজানের জবাব দিলে যে পুরস্কারের কথা বলেছেন নবীজি

আজান ইসলামের মৌলিক আহ্বান। আজান শুনে মানুষ নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। শয়তান দূরে পালায়। আজানের সময় আজান শোনা এবং তার জবাব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। প্রত্যেক আজানের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা আজান শুনতে পাও—তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৪)  

মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতাদের ওই বাক্যটির মাধ্যমে আজানের জবাব দিতে হয়। নিয়মিত আজানের জবাব দানকারীর পুরস্কার জান্নাত।

হজরত ইয়াহ্‌ইয়া ইবনে আবু কাসির (রহ.) বলেছেন, আমার কোনো ভাই আমার নিকট বর্ণনা করেছেন—মুয়াজ্জিন যখন ‘হাইয়া আলাস সালাহ্‌’ বলল, তখন মুআবিয়া (রা.) বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। তারপর তিনি বললেন, তোমাদের নবী (সা.)-কে আমরা এমন বলতে শুনেছি। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৬, সহিহ্ মুসলিম: ৭৩৬)

আজান টেলিভিশন বা রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচারিত হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত। রেকর্ডিং আজান হলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। আজানের জবাব দিয়ে মুয়াজ্জিনের সম পর্যায়ের সওয়াব পাওয়া যায়।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, মুয়াজ্জিনরা তো আমাদের ওপর ফজিলত প্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা কীভাবে তাদের সমান সওয়াব পাব?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘মুয়াজ্জিনরা যে রূপ বলে তুমিও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর যখন আজান শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তুমিও তদ্রূপ সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫২৪)

আজানের পর দরুদ শরিফ পাঠ করে দোয়া পাঠ করতে হয়। এর পুরস্কার ও সম্মাননা অনেক বড়়। হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে দোয়া করে—‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ, ওয়াস সালাতিল কায়িমাহ, আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ, ওয়াব্আসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।’ কিয়ামতের দিন সে আমার শাফায়াত লাভের অধিকারী হবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৭)

নয়াশতাব্দী/ইআর