
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে বলে বিএনপি নেতারা বিশ্বাস করেছেন। তবে যৌথ বিবৃতিতে যেভাবে শব্দ চয়ন করা হয়েছে, সেখানে কোথাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন নির্বাচন হবে এপ্রিলে, তবে-যদি এটা- এটা হয়, তাহলে হতেও পারে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বক্তব্য উদ্ধৃতি করে মাসুদ কামাল বলেন, উনি বলেছেন— লন্ডন বৈঠকের পর নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যে স্বস্তি এসেছে।
এটিকে ধরে রাখতে হবে, সবাই সবার অবস্থান থেকে করণীয় নির্ধারণ করে এগিয়ে যাবেন। সংস্কার হবে, বিচার হবে, নির্বাচনও হবে। উনি বলছেন, এই তিনটাই হবে, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হবে।
মাসুদ কামাল বলেন, ফেব্রুয়ারি মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে নভেম্বর মাসে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হয়। নভেম্বরের তফসির ঘোষণা করলে তখনকার সময়ের মধ্যে কি সংস্কারও সম্ভব হবে? বিচার হবে? নির্বাচন হবে? আমি এনি সাহেবকে বলতে চাই— ভাই, আপনি নিশ্চিত থাকেন এই তিনটাই হবে না। বিচার এবং সংস্কার নভেম্বরের মধ্যে হবে না। এর কোন সুযোগই নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে উদ্ধৃতি করে মাসুদ কামাল বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জাতি গঠনের প্রক্রিয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কার কাছে করেছেন? ড. ইউনুসের কাছে করেছেন। কেন করেছেন? ডক্টর ইউনুস কি এখন পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনা অসাধারণ কোন কাজ দেখাতে পেরেছেন?
মাসুদ কামাল বলেন, ইউনূস সাহেবকে ব্যবহার করা যাবে না, সেটা আমি মনে করি না। কিন্তু গত ১০ মাসে তো দেখেছি ইউনূস সাহেব ব্যবহার হওয়ার লোক না। উল্টো তিনি ব্যবহার করে ছেড়ে দেন। যেমন লন্ডনের মিটিংয়ে উনি জিতে এসেছেন।
নয়াশতাব্দী/এসআর