৩০ আষাঢ়, ১৪৩২

১৪ জুলাই, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ শুল্ক ইস্যু: বৈঠক শেষেও মেলেনি স্বস্তির বার্তা, অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ীরা

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ শুল্ক ইস্যু: বৈঠক শেষেও মেলেনি স্বস্তির বার্তা, অনিশ্চয়তায় ব্যবসায়ীরা

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যে হচ্ছে বৈঠক। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কমিয়ে আনাই ছিলো আলোচনার মূল লক্ষ্য। গত ৯ জুলাই থেকে চলা তিন দিনের বৈঠক শেষে আসেনি স্বস্তির কোনও বার্তা। সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না স্পষ্ট কোনও তথ্য।

বলা হচ্ছে জুলাই মাস ধরেই চলবে আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া আর বাংলাদেশের সক্ষমতা- এই দুই দিক সমন্বয় করে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা বলা মুশকিল। ট্যারিফ ইস্যুতে দুই দেশের বাণিজ্যে যেন কাটছেই না ধোঁয়াশা।

এপ্রিলে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করা হয় ৩৭ শতাংশ শুল্ক। পরে ২ শতাংশ কমিয়ে এখন ৩৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ চলমান ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন আরোপিত ৩৫ শতাংশ যোগ করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। ব্যতিক্রম কিছু না হলে, আগষ্ট থেকে এই শুল্ক দিয়েই দেশটিতে পাঠাতে হবে বাংলাদেশি পণ্য।

এ বিষয়ে গার্মেন্টস বায়িং অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান জানান, আগস্ট থেকে যে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে সেটি কার্যকর হলে হঠাৎ করেই রফতানিতে ধস নামবে।

এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে শুল্কের অভিঘাত। বেশকয়েকটি প্রতিষ্ঠান ক্রয়াদেশ স্থগিত করেছে। উদ্যোক্তারা এমন বার্তা পাচ্ছেন। জানানো হচ্ছে, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফলে তাদের একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে সময় কাটছে।

বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, ইউএসটিআর থেকে প্রথম যে চিঠি এসেছিল তা ইতিবাচক ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় চিঠিটি প্রকাশ করা হয়নি। আর শুল্ক যদি ৩৫ শতাংশই আরোপ হয় তাহলে তা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

আগের বছরের তুলনায় গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বেশি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। বলা যায়, দিন দিন পোশাকের বৃহৎ বাজার হয়ে উঠছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে, শুল্কের ধাক্কায় থমকে যাবে রফতানি।

শুল্ক ইস্যুতে দুই দেশের আলোচনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন ছিল এ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জানান, টিমে যে ধরনের বিশেষজ্ঞ থাকা দরকার ছিল যারা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা করেন, ওই বাজার নিয়ে গবেষণা করেন তাদের থেকে কোনও পরামর্শ চাওয়া হয়নি।

নয়াশতাব্দী/ইআর