৩১ আষাঢ়, ১৪৩২

১৫ জুলাই, ২০২৫

সংসদে আলাদাভাবে নারী আসনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রাশেদ খাঁনের

নয়া শতাব্দী ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ন
সংসদে আলাদাভাবে নারী আসনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রাশেদ খাঁনের

জাতীয় সংসদে আলাদাভাবে শুধু নারীদের জন্য আসনের যৌক্তকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নারীদের নমিনেশন দেওয়ার আইন করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন রাশেদ খাঁন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের জন্য আইন করতে পারে যে, রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম ১০% বা ১৫% নারীদের নমিনেশন দিতে বাধ্য থাকবে।

তাহলেই তো সমস্যা দূর হয়ে যায়। কিন্তু এখন যে সিস্টেমের ওপর আলাপ চলছে, সেটাও এক ধরণের কোটা। বরং কোটার আধুনিক ফরমেট।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘আমরা দেখেছি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে অসংখ্য নারী রাজপথে নেমে এসেছে।

নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষের সমানতালে বা বেশি চান্স পাচ্ছে। চাকরিতেও নারীরা পিছিয়ে নাই। চাকরিতে যেখানে নারীরা চায় না, সরাসরি নারীর জন্য আলাদা পরীক্ষা। সেখানে জাতীয় সংসদে শুধুমাত্র আলাদাভাবে নারী আসনের যৌক্তিকতা কোথায়? যদি তাই হয়, তাহলে আগের সিস্টেমের দোষ কি?’
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘নারীদের কোটার জালে বন্দি করা নারীদের দুর্বল হিসেবে উত্থাপন করার শামিল।

আর এ কারণে আমি মনে করি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ন্যূনতম বরাদ্দের আইন তৈরি হতে পারে। কোনো দল যদি মনে করে ৫০ শতাংশ বা তার অধিক নারীদের জন্য রাখবে, সেটিও করতে পারে।’
জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ১০০ আসন নিয়ে আলোচনা চলছে জাতীয় ঐক্যমত কমিশনে। রাজনৈতিক দলগুলো এতে অনেকটা একমত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই ১০০ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন দাবি করছে।

বিএনপি বলছে, তারা সংসদে নারীদের ১০০ আসনের পক্ষে। তবে সেটি সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে না।
গতকাল কমিশনের সংলাপ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিপির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘সংসদে ১০০ নারী আসনের পক্ষে বিএনপি। তবে এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনের পক্ষে নয়। বিদ্যমান পদ্ধতিতে সংরক্ষিত ১০০ আসনে নারী সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হতে পারেন।’

নয়াশতাব্দী/এসআর